অ্যাম্পিয়ারের সূত্র

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - পদার্থবিদ্যা - পদার্থবিজ্ঞান – ২য় পত্র | NCTB BOOK
2.9k
Summary

স্থির তড়িতে কুলম্ব সূত্র দ্বারা সহজ সমস্যার সমাধান সম্ভব, তবে জটিল সমস্যার জন্য গাউসের সূত্রের প্রয়োজন হয়। তড়িতচৌম্বকত্বের ক্ষেত্রে বিয়োঁ-স্যান্ডার সূত্র ব্যবহার করা হয়। জটিল যোগজীকরণ এড়াতে অ্যাম্পিয়ারের সূত্র ব্যবহার করা হয়।

যদি একটি পরিবাহী তারে I প্রবাহ থাকে, তাহলে r ব্যাসার্ধের একটি বৃত্তের মধ্য দিয়ে চৌম্বকক্ষেত্র B→ তৈরির কথা বিবেচনা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, B ∝ l। এখানে μo2π সমানুপাতিক ধ্রুবক। অতএব, B 2πr = μol লেখা যায়, যেখানে B.→dl→ চিত্রে বৃত্তাকার যোগজীকরণ পথের সাথে স্পর্শক বরাবর থাকে।

     স্থির তড়িতে কুলম্ব সূত্রের সাহায্যে স্থির তড়িৎক্ষেত্র সংক্রান্ত সহজ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু জটিল সমস্যার সমাধানের জন্যে গাউস-এর সূত্রের প্রয়োজন পড়ে। তেমন তড়িতচৌম্বকত্বের ক্ষেত্রে বিয়োঁ-স্যান্ডার সূত্রের সাহায্যে সমস্যার সমাধান করা হয়। সমস্যা সমাধানের সময় জটিল যোগজীকরণ পরিহার করার জন্য অ্যাম্পিয়ারের সূত্রের অবতারণা করা হয়।

   ধরা যাক, একটি পরিবাহী তারের মধ্য দিয়ে I প্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। পরিবাহীটিকে কেন্দ্র করে r ব্যাসার্ধের একটা বৃত্তাকার পথ কল্পনা করা যাক (চিত্র ৪.১০)। এই বৃত্তের পরিধির উপর সকল বিন্দুতে চৌম্বকক্ষেত্র B হলে, পরীক্ষালব্ধ ফলাফল থেকে পাওয়া যায়,

    Blr

চিত্র :৪.১০

 এখানে, μo2π হচ্ছে সমানুপাতিক ধ্রুবক ।

অতএব,B 2π r=μol

বামপক্ষকে লেখা যায়, B.dl

এখানে dl , বৃত্তাকার যোগজীকরণ পথের সাথে স্পর্শক বরাবর বিরাজ করে।

 

 

Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...